অনেকদিন পর একটা বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে গেলাম। সবাই অনেক হৈ-হুল্লো করছিল। খেয়াল করলাম এক পাশে এক মা তার ছেলেকে নিয়ে চেপে বসে আছে, আর ছেলেটা অস্থিরতার সাথে পা নাড়ছে, ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করছে অনবরত। আশেপাশের সবাই তা দেখছে। কিছুক্ষণ পর মা লজ্জা পেয়ে বাচ্চাটাকে ছেড়ে দিল। আর বাচ্চাটা দৌড় দিয়ে গিয়ে একটা প্লেট ধরল। ভাবলাম হয়তো খিদে পেয়েছে, কিন্তু না- কিছুক্ষণ পরই একটা সালাদের বাটি হাতে নিয়ে দৌড় দিল। তারপরই ওটা রেখে অস্থির ভাবে পানির কলটা খুলে পানি নেড়ে নিজেকে ভিজিয়ে ফেলল। আর তখনই বাচ্চার বাবা বাচ্চাকে ধরে ফেলল।
একজন হেলথ প্রফেশনাল হিসেবে আমার একটু সন্দেহ হলো। বাচ্চার মায়ের সাথে কথা বলে বুঝলাম, বাচ্চার বয়স এখন ৮ বছর। প্রথমদিকে সবকিছু স্বাভাবিকই মনে হচ্ছিল, কিন্তু যখন বাচ্চার বয়স ৪ হয়েছে তখন থেকে এই অস্থিরতার পরিমান বেড়েই চলছে। একটু একটু করে কথা বলে কিন্তু তা মনে রাখতে পারেনা। ক্লাসে অনেক বেশি অমনোযোগী। পড়া মনে রাখতে পারেনা। পরিবারের সবাই ও আশেপাশের লোকজন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে বাচ্চার এই অতিরিক্ত চঞ্চলতার কারনে। কেউ বলে জ্বীনের আছর পড়েছে- ওঝা দেখাও, কেউ বলে ঠিকমতো শাসন করোনি, তাই আজ এই অবস্থা। বাচ্চাকে অনেক ডাক্তার দেখিয়েছেন কিন্তু মনোযোগ বাড়া বা অস্থিরতা কমার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছেনা । এখন তারা একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে দেখাচ্ছেন। উনি বাচ্চার ডায়াগনোসিস করেছেন এডিএইচডি (ADHD) বা অ্যাটেনশান ডেফিসিট হাইপারএক্টিভ ডিসঅর্ডার। উনি বাচ্চার জন্যে থেরাপি নিতে বলেছেন, কিন্তু কিভাবে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। খুব কষ্ট পেলাম সেই মা এর সাথে কথা বলে। ছোট থেকে বাচ্চার সঠিক ডায়াগনোসিস ও চিকিৎসা হলে এতদিনে হয়তো বাচ্চাটা কিছুটা হলেও স্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে এগিয়ে যেত। শুধুমাত্র আমাদের সমাজে এডিএইচডি বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে আজ এই অবস্থা। এই লেখার মাধ্যমে এডিএইচডি সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
ADHD কি?
প্রথমেই এডিএইচডি (ADHD) কি সেটা সম্পর্কে একটু জেনে নিই। Attention deficit hyperactivity disorder বা ADHD এমন একটি অবস্থা যা মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করে। এডিএইচডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের অস্থিরতার কারণে মনোযোগে সমস্যা হতে পারে এবং তারা আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে অসমর্থ হয়। এর লক্ষণগুলি অল্প বয়স থেকেই লক্ষ্য করা যায় (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের ৬ থেকে ১২ বছর বয়সের মধ্যেই এই সমস্যাটি নির্ণয় করা যায়) এবং শিশুর অবস্থার পরিবর্তনের সাথে সাথে এটি আরও বেশি লক্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে – যেমন যখন তারা স্কুল শুরু করে, তখন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে বেঞ্চে বা চেয়ার টেবিলে একদমই বসতে চায়না। লক্ষণগুলি সাধারণত বয়সের সাথে উন্নত হয়, কিন্তু যাদের অল্প বয়সে এই রোগের সাথে নির্ণয় করা হয়েছিল প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সাথে সাথে তারা আরও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়াও এডিএইচডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘুমের সমস্যা এবং উদ্বেগজনিত ব্যাধি (Anxiety disorders) থাকতে পারে।
শিশুর ADHD-তে আক্রান্ত হওয়ার কারণ কি?
এডিএইচডির সঠিক কারণ অজানা, তবে এটি বংশ পরম্পয়ায় চলতে দেখা গেছে।
সাধারণত দেখা যায়ঃ
• যে সব বাচ্চারা সময়ের আগে হয়েছে তাদের এডিএইচডি হতে পারে। (গর্ভাবস্থার ৩৭ তম সপ্তাহের আগে)
• জন্মগতভাবে ওজন কম হলে
• গর্ভাবস্থায় ধূমপান বা অ্যালকোহল বা মাদক সেবন এর কারণে এডিএইচডি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ADHD-তে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো কি কি?
• অমনোযোগীতা
• কোন নির্দিষ্ট জিনিসে মনোযোগ দিতে না পারা।
• সময়ের কাজ সময়মত করতে না পারা।
• আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা।
• অতিরঞ্জিত আবেগ।
• কোন কোন ক্ষেত্রে, বিশেষত পছন্দের কাজে অতিরিক্ত ফোকাস থাকে।
• অস্থিরতা
• পরিপূর্ণভাবে কোন কাজ শেষ করতে না পারা।
এডিএইচডির ধরন
Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (DSM) এর মতে এডিএইচডি তিন (৩) প্রকারঃ
• Primarily hyperactive-impulsive type
• Primarily inattentive type (formerly called ADD)
• Primarily combined type
Primarily Hyperactive-Impulsive ADHD
প্রাইমারীলি হাইপারঅ্যাক্টিভ-ইমপালসিভ এডিএইচডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অবিরত নড়াচড়া করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে থাকে। তারা কখনো কখনো শরীর ঝাকি বা মোচড় দেয়, যেটা দেখে মনে হয় তারা খুবই অস্বস্তি বোধ করছে। এছাড়াও তাদের জন্যে এক জায়গায় বসে থাকাটা অনেকটা যুদ্ধের মতো। এই সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের দেখলে মনে হয় তাদের শরীরে মোটর লাগানো আছে এবং তারা অত্যাধিকভাবে ছুটাছুটি করতে থাকে। এরা অবিরাম কথা বলতে থাকে, অন্যদের কথা বলার সময় বাধা দেয়, অযাচিতভাবে অন্যকে করা প্রশ্নের উত্তর দেয় এবং নিজেকে শান্ত রাখতে সংগ্রাম করে। এই ধরণের এডিএইচডি সহজেই সনাক্ত করা যায় এবং এডিএইচডির অন্যান্য ধরনগুলোর তুলনায় বয়স্কদের ও শিশুদের মাঝে বেশি নির্নিত হয়।
Primarily inattentive type (formerly called ADD)
প্রাইমারীলি ইনঅ্যাটেনটিভ টাইপ ADHD- এর ব্যক্তিদের ফোকাস করতে, কাজ শেষ করতে এবং নির্দেশাবলী অনুসরণ করতে অসুবিধা হয়। তারা সহজেই বিভ্রান্ত হয় এবং ভুলে যায়। কখনো কখনো দেখা যায় যে তারা প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র হারিয়ে ফেলে। ফোনে কথা বলতে গেলে এবং কথোপকথনের সময় প্রায়ই তারা ট্র্যাক হারিয়ে ফেলে এবং ঘোরের মাঝে হারিয়ে যায়।
Primarily Combined Type ADHD
প্রাইমারীলি কম্বাইন্ড এডিএইচডি সহ ব্যক্তিরা উপরে বর্ণিত সমস্ত উপসর্গের মিশ্রণ প্রদর্শন করে। একজন চিকিৎসক এই ধরনটি নির্ণয় করবেন।
কিভাবে ADHD নির্ণয় করা হয়?
ADHD এর জন্য কোন একক পরীক্ষা নেই। এটি নির্ণয়ের জন্য, একজন শিশু বিশেষজ্ঞ আপনার সন্তানের দ্বারা প্রদর্শিত কোন ADHD লক্ষণগুলির জন্য মূল্যায়ন করবেন। শিশু বিশেষজ্ঞগন শারীরিক পরীক্ষার সাথে সাথে শিশুর চিকিৎসা ইতিহাস পর্যালোচনা করবেন অন্য কোন চিকিৎসা বা মানসিক সমস্যা আছে কিনা তাও পর্যালোচনা করবেন।
এক্ষেত্রে তারা Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (DSM-V) ব্যবহার করে শিশুর অবস্থার একটি মূল্যায়ন করে থাকেন।
শিশুদের মধ্যে ADHD নির্ণয়ঃ
একটি শিশুকে শুধুমাত্র তখনই ADHD-তে আক্রান্ত হিসেবে নির্ণয় করা যেতে পারে পারে যদি সে DSM-V- এ বর্ণিত নয়টি উপসর্গের মধ্যে অন্তত ছয়টি প্রদর্শন করে এবং যদি দুই বা ততোধিক সেটিংসে (উদাহরণস্বরূপ, বাড়িতে এবং বিদ্যালয়ে) কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা যায়। শিশুর ADHD নির্ণয় করার সময়, ডাক্তার বা শিশু বিশেষজ্ঞ শিশুর স্কুলের রেকর্ড এবং শিশুর শিক্ষক এবং/অথবা কেয়ারগিভার দ্বারা সম্পন্ন প্রশ্নাবলী পর্যালোচনা করতে পারেন। তারা শিশুর সাথে কথা বলবেন এবং পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ADHD নির্ণয়ঃ
বয়স্ক কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে একাধিক সেটিংসে DSM-V- এ বর্ণিত লক্ষণগুলোর মাত্র পাঁচটি দেখা গেলেই ধরে নেয়া যায় যে সেই ব্যাক্তি বা কিশোরটি ADHD-তে আক্রান্ত । সাধারণত ১২ বছর বয়সের আগেই কিশোর বা প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে লক্ষণগুলো দেখতে পাওয়া যায়।
এবার আসুন দেখে নিই Diagnostic and Statistical Manual of Mental Disorders (DSM-V) অনুযায়ী লক্ষন গুলো কি কি-
১। ইনঅ্যাটেনশন/অমনোযোগীতা– ১৬ বছর পর্যন্ত শিশুদের জন্য নিম্নে বর্নিত অমনোযোগের ছয় বা ততোধিক লক্ষণ, অথবা ১৭ বছর বা তার বেশি বয়সী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাঁচ বা তার বেশি; অমনোযোগের লক্ষণগুলি কমপক্ষে ৬ মাস ধরে উপস্থিত থাকবে এবং সেগুলি বিকাশের স্তরের জন্য অনুপযুক্ত হবে:
• প্রায়ই খুঁটিনাটি বিষয়ে মনোযোগ দিতে ব্যর্থ হয় বা স্কুলের কাজে, কর্মক্ষেত্রে বা অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে অসতর্ক ভুল করে।
• প্রায়ই কাজ বা খেলার ক্রিয়াকলাপে মনোযোগ ধরে রাখতে সমস্যা হয়।
• সরাসরি কথা বললে প্রায়ই শুনতে পাচ্ছে না বলে মনে হয়।
• প্রায়শই নির্দেশনা অনুসরণ করে না এবং স্কুলের কাজ, বা কর্তব্য শেষ করতে ব্যর্থ হয় (যেমন, মনোযোগ হারিয়ে ফেলে, সাইড-ট্র্যাক করা)।
• প্রায়ই কয়েকটি কাজ একসাথে করতে সমস্যা হয়।
• প্রায়ই এড়িয়ে যায়, অপছন্দ করে বা এমন কাজ করতে অনিচ্ছুক হয় যার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় (যেমন স্কুলের কাজ বা হোমওয়ার্ক)।
• প্রায়ই কাজ এবং কাজের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলি হারিয়ে ফেলে (যেমন স্কুল উপকরণ, পেন্সিল, বই, সরঞ্জাম, মানিব্যাগ, চাবি, কাগজপত্র, চশমা, মোবাইল ফোন)।
• প্রায়ই সহজেই বিভ্রান্ত হয়
• দৈনন্দিন কাজকর্ম প্রায়শই ভুলে যায়।
২। হাইপারঅ্যাক্টিভিটি এবং ইম্পালসিভিটি– ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের জন্য হাইপারঅ্যাক্টিভিটি- ইম্পালসিভিটির ছয় বা তার বেশি লক্ষণ, অথবা ১৭ বছর বা তার বেশি বয়সী এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পাঁচ বা তার বেশি হাইপারঅ্যাক্টিভিটি-ইম্পালসিভিটির লক্ষণগুলি কমপক্ষে ৬ মাস ধরে এমন পরিমাণে উপস্থিত থাকবে যা সেই ব্যক্তির বিকাশের জন্য ব্যাহতকারী এবং অনুপযুক্ত:
• প্রায়ই হাত বা পায়ে টোকা দেয়, অথবা আসনে বসে থাকে।
• প্রায়ই দৌড়ে যায় বা এমন পরিস্থিতিতে উঠে যায় যখন সেটি উপযুক্ত নয় (কিশোর বা প্রাপ্তবয়স্করা অস্থির বোধের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে)।
• প্রায়ই চুপচাপ খেলতে বা অবসর ক্রিয়াকলাপে অংশ নিতে পারে না।
• প্রায়ই “চলতে চলতে” এমনভাবে কাজ করে যেন “মোটর দ্বারা চালিত” বা তাদের শরীরে মোটর লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।
• প্রায়ই অতিরিক্ত কথা বলে।
• একটি প্রশ্ন সম্পূর্ণ হওয়ার আগে প্রায়ই একটি উত্তর দিয়ে দেয়।
• প্রায়ই তাদের পালা/ turn আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে সমস্যা হয়।
• প্রায়ই অন্যদের উপর বাধা দেয়। (যেমন, কথোপকথন বা খেলার সময়)।
উপরন্তু, নিম্নলিখিত শর্ত পূরণ করা আবশ্যক:
• ১২ বছর বয়সের আগে বেশ কিছু হাইপারঅ্যাক্টিভিটি এবং ইমপালসিভিটির উপসর্গ উপস্থিত ছিল।
• বেশ কয়েকটি উপসর্গ দুই বা ততোধিক সেটিংসে উপস্থিত থাকে, (যেমন বাড়িতে, স্কুল বা কর্মস্থলে; বন্ধু বা আত্মীয়দের সাথে; অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে।
• পরিষ্কার এবং স্পষ্ট প্রমাণ আছে যে, উপসর্গগুলি সামাজিক, স্কুল বা কাজের কার্যকারিতার মানকে হস্তক্ষেপ করে, বা হ্রাস করে।
• অন্য কোনো মানসিক ব্যাধি (যেমন মুড ডিসঅর্ডার, অ্যাংজাইটি ডিসঅর্ডার, ডিসোসিয়েটিভ ডিসঅর্ডার, বা পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার) দ্বারা লক্ষণগুলো ভালোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। লক্ষণগুলি কেবল সিজোফ্রেনিয়া বা অন্য কোনও মানসিক ব্যাধি চলাকালীন ঘটে না।
চিকিৎসা
Therapy/ থেরাপিঃ
ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি, শিশু, কিশোর এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিভিন্ন থেরাপি এডিএইচডি চিকিৎসায় উপকারী। যেমনঃ
o Psychoeducation (সাইকো এডুকেশন).
o Behaviour therapy (বিহেভিয়ার থেরাপি)
o Parent training and education programmes ( প্যারেন্ট ট্রেইনিং এবং এডুকেশন প্রোগ্রাম)
o Social skills training ( সোশাল স্কিল ট্রেনিং)
o Cognitive behavioural therapy (CBT) ( কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি)
o Speech and Language Therapy ( স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি)
o Occupational Therapy ( অকুপেশনাল থেরাপি)
o Music Therapy ( মিউজিক থেরাপি)
o Art Therapy ( আর্ট থেরাপি)
থেরাপি ছাড়া অন্যান্য চিকিৎসার মাঝে রয়েছে –
o Diet
o Supplements
এডিএইচডি চিকিৎসার সাথে জড়িত পেশাজীবিদের মধ্যে রয়েছেনঃ
o ডাক্তার
o শিশু এবং কিশোর মনোবিজ্ঞানী
o শিশু বিশেষজ্ঞ
o এডুকেশনাল এবং ক্লিনিকাল মনোবিজ্ঞানী
o স্পিচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপিস্ট
o অকুপেশনাল থেরাপিস্ট
o নার্স
o সমাজ কর্মী
o স্পেশাল এডুকেটর।
পরিশেষে, স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি নিয়ে কিছু তথ্য দিই। স্পীচ এন্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপির মাধ্যমে যেসকল ব্যক্তি বা শিশুর কথা/ভাষা বুঝতে এবং বলতে সমস্যা থাকে, এবং খাবার চাবানো বা গিলতে সমস্যা হয়, তাদের সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। স্পিচ এবং ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি এডিএইচডি আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য অত্যন্ত উপকারী, যাদের কথা, ভাষা, উচ্চারণগত এবং যোগাযোগের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও একজন স্পীচ এবং ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট শিশুটির যোগাযোগের উন্নতির সাথে সাথে সেই শিশুর একাডেমিক দক্ষতা এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে থাকেন। তবে অবশ্যই আপনার শিশুকে স্পীচ থেরাপি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রফেশনাল গ্রাজুয়েট স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হবেন, কেননা আমরা অবশ্যই চাইবো না আমাদের শিশুটি ভুল থেরাপির কারণে পিছিয়ে যাক। সঠিক থেরাপিউটিক চিকিৎসাই পারে আপনার ও আপনার শিশুর মুখের হাসি অমলিন রাখতে।
লেখা–
ইসরাত আলম
ক্লিনিক্যাল স্পীচ এন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্ট
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন
এবং
ফেইথ বাংলাদেশ
—————————————————————————————-
স্পীচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি সেবার জন্যে যোগাযোগ করতে পারেন-
ফেইথ বাংলাদেশ
বাড়ি নংঃ ২/৪ (খ), ব্লকঃ সি, লালমাটিয়া, ঢাকা- ১২০৫, বাংলাদেশ
হটলাইনঃ +৮৮০১৭৮৩২৪৮৪২৩
ওয়েবসাইটঃ www.faithbangladesh.org/services