এরিকের এক টুকরো গল্প

Spread the love

আমি ছোট থেকেই না জীবন নিয়ে খুব একটা বেশি স্বপ্ন টপ্ন দেখি না, কারণ বাবা শিখিয়েছিলো বেশি স্বপ্ন দেখলে সেটা নাকি পূর্ন হয় না।
যাক এভাবে জীবন ভালই চলছিল।
সময়ের নিয়মে এবং নানা ঘটনার পর দেবার্ঘ্যর সাথে আমার প্রেম ও বিয়ে হয় ( সে ঘটনা সিনেমার মত, অন্য কোনদিন সেই গল্প করবো)। তারপর শুরু আমার আর দেবার্ঘ্যর একসঙ্গে চলা এবং জীবন নিয়ে স্বপ্ন দেখা। আমি আর ও হবু সন্তানের নাম ঠিক করে ফেললাম এরিক, আর আমি এক কদম এগিয়ে ঠিক করে ফেললাম, আমার ছেলে কোন স্কুলে পরবে, “ Calcutta Boys”.


২০১০ এর প্রচন্ড গরমের মে মাসে গরম কে তুড়ি মেরে উড়িয়ে এল সে, যার জন্য করতে পারি লক্ষ মানুষের সাথে লড়াই। আমাদের ‘এরিক’। ‘বৈদূর্য্য’।


২০১২ তে জানলাম এরিক এর অটিজম। এই শব্দে স্বপ্নগুলো ভাঙ্গতে লাগলো। প্রথম ৬ মাস চলল সেই পর্ব “যে না হতেই পারে না”। তারপর আমার ভেতর থেকেই কেউ বলল অটিজম আমার সন্তানের অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে জাস্ট একটা বৈশিষ্ট্য। তাছাড়া ওর অনেক বৈশিষ্ট্য আছে। এরিক এক নতুন সুমিত্রাকে জন্ম দিল। যে সুমিত্রা পরিবারের বাইরে কারো সাথে কথা বলতে গেলেই তোতলাতো, সে এখন অন্য মায়েদের সাথে নিয়ে চলার কথা ভাবা শুরু করলো। হ্যা, এরিকের অটিজম জন্ম দিল এক নতুন আমি। হ্যা আমি পারবো।
আমরা পারবো।
আমি, এরিক আরও
অনেক এরিকরা পারবে।
আমি, সুমিত্রা, এরিক’স মম।

4 Replies to “এরিকের এক টুকরো গল্প

  1. চোখ টা জলে ভরে উঠলো দি।আমাদের গল্পগুলো সেম

  2. বৈদুর্য্য এবং তার মায়ের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল। অনেক বড়ো হবে ও। মিলিয়ে নেবেন। 🌼🌼🌼🌼
    ✍ঈশান।

Leave a Reply to Sumitra Paul Bakshi Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Skip to content