আমি আইরিন সুলতানা, অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। ফেইথ বাংলাদেশে-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই সবাইকে।
আমার বোধশক্তি বাড়ার সাথে সাথেই বুঝতে শিখলাম আমি স্পেশাল বাচ্চাদের জন্য কিছু একটা করবো। তখনও আমার জানা ছিলোনা অকুপেশনাল থেরাপি সম্পর্কে। এই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করতে গিয়ে স্পেশাল বাচ্চাদের সম্পর্কে আরও জানতে পারলাম। এডভান্স প্লেসমেন্ট এর জন্য ফেইথ বাংলাদেশ-এ যখনই যোগাযোগ করতে আসলাম, তখন এখানকার পরিবেশ আর সুপারভাইজার এর ব্যবহারে আমি খুবই মুগ্ধ ছিলাম। তাই প্লেসমেন্টের জন্য ফেইথ ছাড়া অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগও করলাম না।
![](https://blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/245612261_406503141067920_1269818229142506258_n-1024x682.jpg)
প্রথমেই খুব ভীত ছিলাম নতুন একটা জায়গায় কি হবে বা কি করবো তা ভেবে, কিন্তু সব কেটে গিয়েছে সুপারভাইজার দের সহযোগীতায়। যেহেতু এই জায়গার কাজ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা শুণ্য তাই অটিজম, এডিএসডি বাচ্চাদের ডিলিং করা, বিভিন্ন রকম থেরাপি টেকনিক, প্রফেশনাল লাইফ সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না।
আমাকে সেই ছেলেবেলার হাতে খড়ি দেওয়ার মতো করেই শিখেয়েছেন সবাই। তাই হয়তো খুব ভালো শিখতে পেরেছি অনেক কিছুই যা আগে জানা ছিলো না। প্রথম দুইদিন মনে মনে ভাবছিলাম, সব কিছু পারবো কিনা, নতুন কিছু শিখবো কিনা ? কিন্তু এরপর থেকে বাসায় ফেরার সময় কোনদিন নিরাশ হইনি। রোজ নতুন কিছু নিয়েই বাসায় গিয়েছি সুপারভাইজারদের কাছ থেকে।
![](https://blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/245062073_1042401789872345_2123020144054004542_n-1024x682.jpg)
এই মানুষ গুলাকে দেখলে একজন সফল অকুপেশনাল থেরাপিস্ট হওয়ার অনুপ্রেরণা আরও বেড়ে যায়। আমি ফেইথ বাংলাদেশে দেখেছি, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর বাচ্চার বাবা-মারা কতটা আস্থা নিয়ে ফেইথ বাংলাদেশে আসেন। এখানের যে সব বাচ্চা, বাচ্চার অভিভাবক, থেরাপিস্ট এবং ফেইথ বাংলাদেশের অন্যান্য কাজে নিয়োজিত যারা আছেন, সবাই একটা পরিবার।
![](https://i1.wp.com/blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/245204833_391434266018163_639970162992693710_n-1024x682.jpg?ssl=1)
![](https://i2.wp.com/blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/245214251_3102534266633447_7532934850808642906_n-1024x682.jpg?ssl=1)
তাই খুব শরীর খারাপের মধ্যেও মনে হয়নি যে একদিনও না যাই। আমার মনে হতো রোজ দুপুরে খাবার টেবিলে এক যৌথ পরিবারে বসে খাচ্ছি, যা ছিল আমার সব চেয়ে ভালো লাগার বিষয়। হাজারো কাজের ব্যাস্ততায় আমাদের খেয়াল রাখতে তারা ভোলেননি।
![](https://blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/243953081_902307797361324_4631452532107574222_n.jpg)
প্লেসমেন্ট শেষে, বিভিন্ন রকম অকুপেশনাল থেরাপি, কিভাবে পেশাজীবন সঠিক ভাবে বজায় রাখতে হয় এবং আমার যে ঘাটতি গুলা ছিল, সেই বিষয় গুলা শিখতে পেরেছি। আশা করি ভবিষ্যতে আমি আমার এই ভালো অভিজ্ঞতা গুলোকে ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারবো, সবার সাহায্যের, সবার সময়ের মর্যাদা দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
![](https://i2.wp.com/blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/246704040_298879125405011_2929855320467635974_n-1-1024x682.jpg?ssl=1)
![](https://i1.wp.com/blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/244726027_180779254240211_5974756935800289973_n-1024x682.jpg?ssl=1)
ফেইথ বাংলাদেশের সবার কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা আর এত সম্মান পেয়ে নিজের কনফিডেন্স অনেক বেড়েছে। আমি মনে প্রানে চাই ভবিষ্যতে এই ফেইথ পরিবারের সাথে কাজ করতে।
ধন্যবাদ ফেইথ পরিবারকে আমাকে তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে এই এক মাস কাজ করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
![](https://blog.faithbangladesh.org/wp-content/uploads/2021/10/247406590_580739109812988_6350625891972020259_n-1024x682.jpg)
আইরিন সুলতানা
বি,এস,সি অকুপেশনাল থেরাপি বিভাগের, ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী। বি,এইচ,পি,আই,
সি,আর,পি,সাভার,ঢাকা।
great put up, very informative. I wonder why the other specialists of this sector don’t realize this.
You should continue your writing. I’m confident,
you have a great readers’ base already!